বাংলা |
তোমার জন্মদিনে [ প্রেমকাননের প্রিয়াকে] মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী ------------------------------------------- আজ এপ্রিলের সেই স্মরণীয় দিন ঃ তোমার জন্মদিন ; স্বার্থক তোমার জন্ম । সেদিন মায়ের জরায়ু থেকে বের হয়ে কেঁদেছিলে পৃথিবীর দৈন্যদশা দেখে । তুমি আজ তরুনীতে রূপান্তরিত , সুন্দর একজন তন্বী তরুনী তুমি । সেই ভাঁজহীন শরীরে আজ তোমার সাগরের ঢেউয়ের মতো মাতাল করা ভাঁজ ! আজ পৃথিবীর রূপ পাল্টাতে পারো তুমি , পৃথিবীর দৈন্যদশাকে ভালোবাসার মুগ্ধ পদাবলী দিয়ে তুমি হাসি ফোটাতে পারো । সুন্দর তোমার মুখাকৃতি , সুন্দর ভাঁজ করা শরীরের গঠন , সুন্দরের জয় সর্বত্র - তাই তুমি জয়ী । কাকতালীয় ঘটনায় আমি তোমার বন্ধু হলাম , তোমার সুন্দর মুখশ্রীর কাছে পরাজিত হলেও এখন একজন বন্ধু ; অন্যদের মতো সুন্দর না হলেও তোমার হৃদয়ের বাইরে ভাসমান একজন বন্ধু । জানি , সুন্দর তো সুন্দরেরই পূঁজারী , তাই তোমার ভালোবাসা বিলাবার স্থান সুন্দরের কাছেই । তবুও মিনতি তোমায় , অসুন্দর ভেবে সুতীব্র ঘৃণার তীর বিদ্ধ করোনা আমার দগ্ধিত বুকে , তোমার ভালবাসা পেতে আমি এখন হিমালয়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি । ভুমধ্য সাগরের লিপারী দ্বীপের স্ট্রম্বলীর মতো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি যেন আমার হৃদয় , তোমার ভালোবাসার মৃদু স্পর্শে হৃদয়ের জ্বালামুখ দিয়ে তোমার অজান্তে আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত হচ্ছে লাভা ! তোমার মুখপদ্মের জন্য অহন্কার করোনা , হিংসা করোনা আমায় কালো বলে , দন্ডায়মান করোনা অন্য কাউকে তোমার হৃদয়ে - আমার বিপক্ষে । আমার হৃদয়কে তোমার অহন্কার নামের এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিবে ? এমন পাষাণ কখনো হয়োনা । মূল্যবান কিছু নাইবা দিলাম , অন্ততঃ আজ তোমার জন্মদিনে তোমায় একটা কবিতা দিলাম ! পরিবর্তে শুধু তুমি আমায় একটু ভালোবাসা দাও , হৃদয় নিংড়ানো আবেগ মিশ্রিত একরাশ ভালোবাসা ; তোমার ভালোবাসা আমায় করবে সজীব - জীবন্ত , তোমার সেই ভালোবাসা আমায় করবে নতুন জীবন দান । বিশ্বাস করো , সুদৃঢ় বিশ্বাস - যেমন তুমি তোমার কথাকে করো , তোমার অনিচ্ছায় তোমার ঐ তুলতুলে দেহখানা আমি চাইনে , তোমার সুন্দর মুখাবয়বের জন্য আমি কখনো লালায়িত নই , লুলোপ দৃষ্টিতে তোমার শরীরের প্রতিটি ভাঁজ দেখা থেকে আমি বিমুখ থাকবো , কিন্তু তুমি আমাকে একটা বিষয়ে কক্ষনো বাধা দিতে পারবেনা । যেভাবেই হোক তোমার হৃদয় আমাকেই দিতে হবে , আমি তোমার দেহকে নয় , হৃদয়টাকেই চাইবো । তোমার দেহ - সেটা বাইরের , তুমি বাধা দিলেও তা নিষ্পেষিত হবে অন্যের করতলে ; আর তোমার হৃদয় - সেটা ভিতরের , তুমি না দিলে কারো সাধ্য নেই তাতে হাত দেয়ার । এখন সব তোমার ইচ্ছার উপরই নির্ভর - দেহ অন্যকে দিতে চাও ? দাও , রূপ অন্যকে দেখতে চাও ? দেখাও । সবকিছুই দিয়ে দাও , আপত্তি কিছুতেই থাকবেনা আমার । কিন্তু , দোহায় আল্লাহর ! হৃদয়টা শুধু আমার জন্য অবশিষ্ঠ রেখো ; সেটি কাউকে স্পর্শ করতে দিওনা , এমনকি সামান্যতম স্পর্শও নয় । আমার হৃদয়ের আকুতি তোমার হৃদয়ের কাছে - আমি একটা দগ্ধিত ক্ষত হদয় , তুমি এক অক্ষত হৃদয়ের জন্য প্রতীক্ষায় আমি ; তুমি তোমার স্থানে ফুটে থেকো একটা অক্ষত গোলাপ রূপে - যেন একটা অক্ষত প্রস্ফুটিত লাল গোলাপ ! মনে রেখো , এমন ভাবে - যেভাবে বুকের ওড়না খসে গেলে তুলে নাও ! এখন আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন একমাত্র তুমিই । ======================================== |